বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি – রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং নদীর উপর নির্মিত ৪০৯ ফুট দৈর্ঘের সেতুটির গার্ডার দ্বিতীয় বারের মতো বিকট শব্দে ভেঙ্গে পড়েছে। এতে মোঃ ইউছুফ ও মোঃ সবুজ নামে দুই নির্মান শ্রমিক আহত হয়েছেন স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়, আহত দুই শ্রমিকের বাড়িই জামালপুর । ১৫ মার্চ রবিবার রাত ৯ টায় গার্ডারগুলো ধসে পরে। ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারী এই সেতু তৈরির কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ১ম জানুয়ারী কাজ বুজিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কুমিল্লা জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ড্রাস দীর্ঘ ৫ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি। কাজের শুরু থেকেই সেতুটিতে নিম্ন মানের সামগ্রীর ব্যাবহারের বার বার অভিযোগ জানিয়েও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোন সুফল পায়নি স্থানীয়রা।
ফলে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে ক্ষুরিয়ে ক্ষুরিয়ে চলছে সেতু তৈরির কাজ। ফলে বারবার একই ভাবে ভেঙ্গে পড়ছে গার্ডার ফলে এই সেতুটির কাজ কবে শেষ হবে উত্তর জানেনা কেও। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা গার্ডার ভেঙ্গে পরার বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন এটি একটি দূর্ঘটনা শ্রমিকরা রাতে কাজ করার সময় একটি গার্ডার কাত হয়ে পরে এবং একটি রেডি গার্ডার নিচে ধসে পড়েছে হঠাৎ কি কারনে এমনটি হয়েছে এখনো জানাযায়নি তবে সকালে ঘটনা স্থল পরিদর্শনের বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের এই কর্মকর্তা।
এদিকে সারা দেশের সাথে উপজেলার সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটিতে এত অনিয়ম ও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যাবারের ফলে স্থাানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই ঘটনার বার বার পনরাবিত্তি হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সড়ক জনপদ বিভাগককে কোন ধরনের ব্যাবস্থা নিতেও দেখা যায়নি এতে অনেকেই মনে করছেন শর্স্যের মধ্যেই ভূত রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সবচেয়ে নিম্মমানের কাজ ব্যয়বহুল সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাঙামাটি।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে ১৩ জুন সাপছড়িতে পাহাড় ধসে যোগযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে রাঙামাটি -চট্টগ্রাম সড়কে সাপছড়িতে প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বেইলী ব্রীজ করা হয় । তাও আবার নড়ে বড়ে ।
রিপোর্ট :চৌধুরী হারুনুর রশিদ,রাঙ্গামাটি ।